বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে উরস শরীফ: ফরিদপুরের আটরশিতে অবস্থিত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফে (Bishwa Zaker Manzil) মহা পবিত্র উরস শরীফের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি ২০২৬ (শনিবার) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই আধ্যাত্মিক মিলনমেলা। চার দিনব্যাপী এই মহাযজ্ঞে দেশ-বিদেশের লাখো জাকেরান, আশেকান ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমাগম ঘটবে।

বিশ্ব জাকের মঞ্জিল উরস শরীফ ২০২৬

দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত প্রচারপত্র ও পোস্টার সূত্রে জানা গেছে, শাহানশাহে তরিকত বিশ্বওলী হযরত মাওলানা শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী নকশবন্দী মুজাদ্দেদী (কু: ছে: আ:) ছাহেবের পবিত্র উরস শরীফ উপলক্ষে প্রতি বছর এই আয়োজন করা হয়। এ বছরও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে উরস উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আলো ঘর-এর পাঠকদের জন্য আজকের প্রতিবেদনে আমরা উরসের সময়সূচি এবং কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব।

উরস শরীফের সময়সূচি ও তারিখ (বাংলা, ইংরেজি ও হিজরি)

উরস শরীফ ১০ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভক্তদের সুবিধার্থে বাংলা ও হিজরি তারিখসহ বিস্তারিত সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো:

• শুরুর তারিখ: ১০ জানুয়ারি ২০২৬ (শনিবার) / ২৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / ২০ রজব ১৪৪৭ হিজরি।
• সমাপনী ও আখেরি মোনাজাত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৬ (মঙ্গলবার) / ২৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / ২৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি।
• স্থান: বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফ, আটরশি, সদরপুর, ফরিদপুর।

প্রতিদিন ফজর, জোহর, আছর, মাগরিব ও এশার নামাজের পর দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ বয়ান পেশ করবেন। এছাড়াও ভক্তদের জন্য বিশেষ জিকির ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

ভক্তদের সমাগম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে উরস শরীফ উপলক্ষে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা আটরশির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে শুরু করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর লোকসমাগম বিগত বছরগুলোর রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

দরবার কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগত মেহমানদের নিরাপত্তা ও থাকা-খাওয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং দরবারের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।

bishwa zaker manzil urs sharif 2026

যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন, তাদের সুবিধার্থে পরিবহন ও আবাসনের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আপডেট বা ট্রাফিক নির্দেশনা জানতে আমাদের Latest News বিভাগে চোখ রাখতে পারেন।

আরও পড়ুন: সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৬: ক্যালেন্ডার, পরিকল্পনা ও বিধিমালা

ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব

জাকেরানদের কাছে এই উরস শরীফ এক পবিত্র মিলনমেলা। এখানে এসে মানুষ আত্মশুদ্ধি ও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের সাধনা করেন। হযরত মাওলানা শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু: ছে: আ:)-এর আদর্শ ও শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়াই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

উরস চলাকালীন সময়ে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা প্রচার করা হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে।

আখেরি মোনাজাত ও সমাপ্তি

১৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকালে পবিত্র ফাতেহা শরীফ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে চার দিনব্যাপী এই উরস শরীফের সমাপ্তি ঘটবে। আখেরি মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হবে। লাখো মানুষের ‘আমিন, আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে আটরশির আকাশ-বাতাস।

যারা সরাসরি উপস্থিত হতে পারবেন না, তারা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম বা টেলিভিশনে মোনাজাত সরাসরি উপভোগ করতে পারবেন।

এস এ শাকিল, স্টাফ রিপোর্টার (লেটেস্ট নিউজ): [আলো ঘর]-এর সর্বশেষ সংবাদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি দেশ-বিদেশের সমসাময়িক ঘটনা ও ব্রেকিং নিউজ নিয়ে নির্ভুল তথ্য সরবরাহে কাজ করছেন।

“আপনি কি এবারের উরস শরীফে অংশগ্রহণ করছেন? আপনার অভিজ্ঞতা বা প্রত্যাশা কমেন্টে জানান।”

আরও পড়ুন: পরীক্ষার ভীতি কাটানোর ৫টি কার্যকরী সাইকোলজিক্যাল টিপস: টেনশনমুক্ত থাকার পূর্ণাঙ্গ গাইড