Sorkari Chutir Talika 2026 – সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৬: অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমোদিত ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখুন। ২৮ দিনের ছুটির মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটি। জেনে নিন Sorkari Chutir Talika 2026 ও দীর্ঘ সপ্তাহান্ত ছুটি কাটানোর সেরা পরিকল্পনা।
সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৬
Sorkari Chutir Talika 2026: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান! অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছুটি থেকে আরও: সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটির প্রকারভেদ: পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলী ও মঞ্জুরির গাইড
বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের কাছে এই অনুমোদনের কথা জানান।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, আগামী বছর (২০২৬ সাল) সর্বমোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করবে বাংলাদেশ। তবে, এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিনই শুক্রবার ও শনিবার, অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়েছে।
Sorkari Chutir Talika 2026
এই ঘোষণার ফলে আমাদের বার্ষিক পরিকল্পনাগুলো এখন একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ালো। যদিও ৯টি ছুটি “নষ্ট” হওয়ায় আমার মতো অনেক চাকরিজীবীই কিছুটা হতাশ, তবুও এই তালিকা হাতে পাওয়ায় আমরা এখন বাকি ছুটিগুলো কাজে লাগানোর জন্য সেরা পরিকল্পনাটি সাজাতে পারবো।
এই আর্টিকেলটি শুধু অনুমোদিত ছুটির তালিকা নয়; এটি আপনার আগামী বছরের সেরা পরিকল্পনা সাজানোর একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড, বিশেষ করে যখন প্রতিটি ছুটিই মূল্যবান।
২০২৬ সালের অনুমোদিত সরকারি ছুটির তালিকা
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী, আমরা বিগত বছরের ক্যালেন্ডার এবং আন্তর্জাতিক চন্দ্র ক্যালেন্ডারের (Lunar Calendar) উপর ভিত্তি করে একটি বিস্তারিত তালিকা নিচে তুলে ধরছি।
বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, ধর্মীয় ছুটিগুলো (যেমন: ঈদ, শবে বরাত, পূজা) চাঁদ দেখা বা তিথির উপর নির্ভরশীল। তাই এই তারিখগুলো গেজেটে “চাঁদ দেখা সাপেক্ষে” উল্লেখ থাকে এবং চূড়ান্ত দিনে এক-আধ দিন পরিবর্তন হতে পারে।
এখানে ২০২৬ সালের সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটিগুলো একনজরে টেবিলে দেওয়া হলো:
| তারিখ (সম্ভাব্য) | বার | ছুটির বিবরণ | ধরণ |
| ২১ ফেব্রুয়ারি | শনিবার | শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস | সাধারণ ছুটি |
| ৪ ফেব্রুয়ারি* | বুধবার | শবে বরাত* (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) | সাধারণ ছুটি |
| ১৭ মার্চ | মঙ্গলবার | জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন | সাধারণ ছুটি |
| ১৮ মার্চ* | বুধবার | শবে কদর* (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) | সাধারণ ছুটি |
| ২০ মার্চ* | শুক্রবার | ঈদুল ফিতর* (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) | সাধারণ ছুটি |
| ১৯-২১ মার্চ* | বৃহঃ – শনি | ঈদুল ফিতরের ছুটি (ঈদের আগে ও পরের দিন) | নির্বাহী আদেশ |
| ২৬ মার্চ | বৃহস্পতিবার | স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস | সাধারণ ছুটি |
| ১৪ এপ্রিল | মঙ্গলবার | বাংলা নববর্ষ (পহেলা বৈশাখ) | নির্বাহী আদেশ |
| ১ মে | শুক্রবার | মে দিবস | সাধারণ ছুটি |
| ১ মে* | শুক্রবার | বুদ্ধ পূর্ণিমা* (বৈশাখী পূর্ণিমা) | সাধারণ ছুটি |
| ২৬ মে* | মঙ্গলবার | ঈদুল আযহা* (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) | সাধারণ ছুটি |
| ২৫-২৭ মে* | সোম – বুধ | ঈদুল আযহার ছুটি (ঈদের আগে ও পরের দিন) | নির্বাহী আদেশ |
| ২৬ জুন* | শুক্রবার | আশুরা* (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) | সাধারণ ছুটি |
| ১৫ আগস্ট | শনিবার | জাতীয় শোক দিবস | সাধারণ ছুটি |
| ২৬ আগস্ট* | বুধবার | ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)* | সাধারণ ছুটি |
| ৪ সেপ্টেম্বর* | শুক্রবার | শুভ জন্মাষ্টমী | সাধারণ ছুটি |
| * ২১ অক্টোবর* | বুধবার | দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী) | সাধারণ ছুটি |
| ১৬ ডিসেম্বর | বুধবার | বিজয় দিবস | সাধারণ ছুটি |
| ২৫ ডিসেম্বর | শুক্রবার | যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন) | সাধারণ ছুটি |
ছুটির প্রকারভেদ: কোনটি আপনার জন্য?
অনুমোদিত ২৮ দিনের ছুটির মধ্যে কোনটি আপনার জন্য প্রযোজ্য, তা জানা জরুরি। সরকারি প্রজ্ঞাপনে ছুটিগুলোকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
সাধারণ ছুটি (General Holidays)
সহজ কথায়, এটি “Public Holiday”। এই ছুটিগুলো সবার জন্য প্রযোজ্য—সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত। ২১শে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ, পূজা, বড়দিন ইত্যাদি এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। আইনত, কোনো প্রতিষ্ঠান এই দিনে কর্মীদের কাজ করতে বাধ্য করতে পারে না (জরুরি সেবা ব্যতীত)।
নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি
এই ছুটিগুলো মূলত সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য হয়। যেমন, পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল)। তবে, অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও আজকাল এই ছুটিগুলো প্রদান করে থাকে। ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় নিজস্ব সার্কুলার অনুযায়ী এই ছুটিগুলো সমন্বয় করে।
ঐচ্ছিক ছুটি (Optional Holidays)
এই ২৮ দিনের ছুটির বাইরেও প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীর জন্য আলাদা ঐচ্ছিক ছুটির ব্যবস্থা আছে।
- মুসলিম পর্ব: ঈদুল ফিতর ও আযহার ৩ দিনের ছুটির বাইরেও ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম, আখেরী চাহার সোম্বা ইত্যাদিতে মুসলিম কর্মীরা ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারেন।
- হিন্দু পর্ব: বিজয়া দশমী ও জন্মাষ্টমী (সাধারণ ছুটি) ছাড়াও সরস্বতী পূজা, শিবরাত্রি, দোলযাত্রা ইত্যাদিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারেন।
- খ্রিস্টান পর্ব: বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) ও ইস্টার সানডে (সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হতে পারে) ছাড়াও নিউ ইয়ার্স ডে (১ জানুয়ারি) ইত্যাদিতে তারা ঐচ্ছিক ছুটি পান।
- বৌদ্ধ পর্ব: বুদ্ধ পূর্ণিমা (সাধারণ ছুটি) ছাড়াও মাঘী পূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা ইত্যাদিতে তারা ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ টিপস: একজন কর্মী বছরে সাধারণত সর্বোচ্চ ৩ দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারেন। এটি আপনার প্রতিষ্ঠানের এইচআর পলিসির (HR Policy) উপর নির্ভরশীল।
২০২৬ সালের সেরা প্ল্যান: দীর্ঘ সপ্তাহান্ত (Long Weekends) কোথায়?
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, ছুটির তালিকা হাতে পাওয়ার পর আমরা যে জিনিসটা প্রথম খুঁজি, তা হলো— “লম্বা ছুটি” বা “Long Weekend”।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ২৮টি ছুটির মধ্যে ৯টি ছুটিই শুক্র ও শনিবারের দিনে পড়ায় অনেকেই কিছুটা হতাশ হতে পারেন। এর মানে হলো, আমরা ৯টি ছুটি (যেমন: ২১ ফেব্রুয়ারি, ঈদুল ফিতর, মে দিবস, আশুরা, ১৫ আগস্ট, জন্মাষ্টমী, বড়দিন ইত্যাদি) সরাসরি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ‘হারিয়ে’ ফেলছি।
কিন্তু হতাশ হবেন না! এর মানে হলো, বাকি ১৯টি ছুটি আমাদের জন্য আরও বেশি মূল্যবান হয়ে উঠলো। এই ১৯টি ছুটি ব্যবহার করেই আমাদের সেরা পরিকল্পনাটি সাজাতে হবে।
আসুন, ক্যালেন্ডারটা একটু মিলিয়ে দেখি— ৯টি ছুটি হারানোর পরও সেরা সুযোগগুলো কোথায়:
১. মার্চ: ছুটির মাস
- সুযোগ ১ (১৭ মার্চ): বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পড়েছে মঙ্গলবার। আপনি যদি শুধু সোমবার (১৬ মার্চ) ছুটি ম্যানেজ করতে পারেন, তাহলে শনি-রবি-সোম-মঙ্গল (৪ দিন) ছুটি পেয়ে যাচ্ছেন!
- সুযোগ ২ (ঈদুল ফিতর): যদিও মূল ঈদ শুক্রবার পড়েছে (ছুটি নষ্ট), কিন্তু ঈদের নির্বাহী আদেশের ছুটি (বৃহস্পতি ও শনি) মিলে এটি একটি লম্বা ছুটি। (বৃহস্পতি-শুক্র-শনি)। রবিবারের ছুটি ম্যানেজ করলে এটি ৪-৫ দিনের একটি দারুণ ব্রেক হতে পারে।
- সুযোগ ৩ (২৬ মার্চ): স্বাধীনতা দিবস পড়েছে বৃহস্পতিবার। পরের দিন শুক্রবার এমনিতেই সাপ্তাহিক ছুটি। অর্থাৎ, কোনো ছুটি না নিয়েই আপনি (বৃহস্পতি-শুক্র-শনি) ৩ দিনের একটি মিনি ট্যুর সেরে ফেলতে পারেন।
২. এপ্রিল: বৈশাখী আমেজ
- সুযোগ (১৪ এপ্রিল): পহেলা বৈশাখ পড়েছে মঙ্গলবার। ঠিক মার্চের মতোই, আপনি যদি সোমবার (১৩ এপ্রিল) একটি ছুটি ম্যানেজ করেন, তবে শনি থেকে মঙ্গল (৪ দিন) ছুটি পাবেন। দেশের ভেতরে ঘুরে আসার জন্য চমৎকার সময়।
৩. মে: ঈদের লম্বা ছুটি
- সুযোগ (ঈদুল আযহা): এটিই হতে পারে বছরের সেরা ছুটি! সম্ভাব্য তারিখ ২৬ মে, মঙ্গলবার। নির্বাহী আদেশের ছুটিসহ (সোম-মঙ্গল-বুধ) এটি একটি লম্বা ছুটি হবে। এর সাথে শনি-রবি যোগ হয়ে এটি বছরের অন্যতম দীর্ঘ ছুটি হতে যাচ্ছে। আপনি যদি মাঝের সোমবার (২৫ মে) এমনিতেও ছুটি পান, তবে শনি থেকে বুধ (৫ দিন) ছুটি নিশ্চিত।
৪. অক্টোবর ও ডিসেম্বর: বছরের শেষ সুযোগ
- অক্টোবর (২১ অক্টোবর): বিজয়া দশমী পড়েছে বুধবার। এটি একটি “স্যান্ডউইচ হলিডে”। আপনি যদি সোম-মঙ্গল (২ দিন) অথবা বৃহস্পতি-শুক্র (২ দিন) ছুটি নিতে পারেন, তবে এটি ৫ দিনের অসাধারণ এক ছুটিতে পরিণত হবে।
- ডিসেম্বর (১৬ ডিসেম্বর): বিজয় দিবস পড়েছে বুধবার। ঠিক পূজার ছুটির মতোই, ২ দিন ছুটি ম্যানেজ করে এটিকে ৫ দিনের লম্বা ছুটিতে রূপান্তর করা সম্ভব।
যেহেতু ৯টি ছুটি এমনিতেই চলে যাচ্ছে, তাই যে ছুটিগুলোর জন্য মাত্র ১ দিন ছুটি নিলেই ৪ দিনের ব্রেক পাচ্ছেন (যেমন মার্চ ও এপ্রিলে), সেই ছুটিগুলো আগে থেকেই আপনার বসের সাথে কথা বলে বা টিমের সাথে আলোচনা করে নিশ্চিত করে রাখুন। প্রতিটি ছুটিই এখন মূল্যবান।
ছুটি ও পরিকল্পনা: ২০২৬ সালকে যেভাবে কাজে লাগাবেন
ছুটি পাওয়া এক জিনিস, আর সেই ছুটিকে কাজে লাগানো আরেক জিনিস।
- ভ্রমণ পরিকল্পনা: দীর্ঘ সপ্তাহান্তগুলো জানার ফলে আপনি এখন থেকেই ফ্লাইট বা হোটেলের খোঁজখবর নিতে পারেন। যত আগে বুকিং দেবেন, খরচ তত কমবে।
- পারিবারিক অনুষ্ঠান: বিয়ের তারিখ বা যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য এই দীর্ঘ ছুটিগুলো বেছে নিতে পারেন, যেন দূরের আত্মীয়রাও সহজে যোগ দিতে পারে।
- ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স: যারা ফ্রিল্যান্সার বা ব্যবসায়ী, তারা এই ছুটির দিনগুলোতে ক্লায়েন্টদের আগাম জানিয়ে রাখতে পারেন। এতে আপনার পেশাদারিত্ব বজায় থাকবে এবং আপনিও ছুটিটা নির্ভারভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
ছুটির চূড়ান্ত গেজেট কোথায় পাবেন?
এই আর্টিকেলটি অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ছুটির তালিকার উপর ভিত্তি করে আপডেট করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ এই ২৮ দিনের ছুটি অনুমোদন করেছে।
প্রশ্ন: ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা কোথায় পাবো? উত্তর: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ইতিমধ্যেই (আজ, বৃহস্পতিবার) তালিকাটি অনুমোদন করেছে। এটি খুব শীঘ্রই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (Ministry of Public Administration) থেকে গেজেট (Gazette) আকারে প্রকাশিত হবে, যা সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
কোথায় পাবেন এই গেজেট?
- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট: ছুটির তালিকা অনুমোদিত হওয়ার পর সর্বপ্রথম এটি https://mopa.gov.bd ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।
- অফিসিয়াল গেজেট: বাংলাদেশ গেজেট আকারে এটি প্রকাশিত হয়।
- নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম: প্রথম সারির সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো গেজেট প্রকাশের সাথে সাথেই এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্ল্যানিং হোক আজ থেকেই
ছুটি কেবল ক্যালেন্ডারের পাতায় একটি লাল দাগ নয়; এটি আমাদের কাজ ও জীবনের মধ্যে ভারসাম্য আনার একটি অপরিহার্য সুযোগ। ২০২৬ সালে ৯টি ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়লেও, বাকি ছুটিগুলো আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই চূড়ান্ত অনুমোদনের ফলে আমরা আর “সম্ভাব্য” তালিকার উপর নির্ভর করে নেই। এখন থেকেই আপনার আগামী বছরের বড় বড় পরিকল্পনাগুলো সাজিয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, একটি ভালো পরিকল্পনা আপনার ছুটি উদযাপনের আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
আপনার ২০২৬ সাল সুন্দর ও পরিকল্পিত হোক!
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্ন ১: ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির চূড়ান্ত তালিকা কি প্রকাশিত হয়েছে? উত্তর: হ্যাঁ, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ইতিমধ্যেই (আজ, বৃহস্পতিবার) ২০২৬ সালের ২৮ দিনের ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে। এটি যেকোনো সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।
প্রশ্ন ২: ২০২৬ সালে মোট ছুটি কত দিন? উত্তর: ২০২৬ সালে সব মিলিয়ে মোট ছুটি ২৮ দিন। এর মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবারের দিনে পড়েছে।
প্রশ্ন ৩: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার ছুটি কি পরিবর্তন হতে পারে? উত্তর: হ্যাঁ, পারে। অনুমোদিত তালিকায় এই ছুটিগুলো “চাঁদ দেখা সাপেক্ষে” উল্লেখ থাকে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ঈদের তারিখ ঘোষণা করার পর ছুটির চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারিত হয়।
প্রশ্ন ৪: “৯ দিন ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে” পড়ার অর্থ কী? উত্তর: এর অর্থ হলো, যে ২৮ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৯টি ছুটির দিন এমনিতেই শুক্রবার বা শনিবার পড়েছে। ফলে আলাদাভাবে এই ৯ দিনের জন্য কোনো ছুটি পাওয়া যাবে না, যা চাকরিজীবীদের জন্য কার্যত ছুটি “নষ্ট” হওয়ার সামিল।
প্রশ্ন ৫: ২০২৬ সালের দীর্ঘতম ছুটি কোনটি হতে পারে? উত্তর: অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী, ঈদুল আযহা (মে) হবে ২০২৬ সালের দীর্ঘতম ছুটি। এটি সপ্তাহের শুরুতে (সোম-মঙ্গল-বুধ) হওয়ায় আগের সাপ্তাহিক ছুটির (শনি-রবি) সাথে মিলে এটি ৫ দিনের একটি নিশ্চিত লম্বা ছুটি তৈরি করছে।
প্রশ্ন ৬: পহেলা বৈশাখের ছুটি কি নির্বাহী আদেশের ছুটি? উত্তর: হ্যাঁ, বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখের (১৪ এপ্রিল) ছুটি সাধারণত নির্বাহী আদেশের ছুটি হিসেবে গণ্য হয় এবং এটি অনুমোদিত তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
৯টি ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়ায় আপনি কি হতাশ? ২০২৬ সালে আপনার ছুটির সেরা প্ল্যান কী? কমেন্ট করে আমাদের জানান!
ছুটি থেকে আরও: ঐচ্ছিক ছুটি: ঐচ্ছিক ছুটি কী? আবেদন করার নিয়ম ও সময়সীমা




4 thoughts on “২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন: মোট ২৮ দিন, সপ্তাহান্তে ৯ দিন”